বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১২

থেরাপী & আমি

থেরাপী & আমি
অনামিকা মন্ডল
সেঞ্চুরী করতে কার না ভাল লাগে? ইতিবাচক সেঞ্চুরী করতে সবারই ভাল লাগে। দৈনিক নয়া দিগন্ত এর ফান ম্যাগাজিন থেরাপীর ও নিশ্চয়ই ভাল লেগেছে সেঞ্চুরী করতে, তাও আবার ক্রিকেটার ভিরেন্দার শেবাগ এর মত ত্রিপল সেঞ্চুরী! লাইফে আমিও কম সেঞ্চুরী করি নাই! এই যেমন পরীক্ষায় ৩০০ পেয়েছি কতবার ( কত এর মধ্যে ৩০০ পেয়েছি সেটা নাই বা বললাম)! আবার ফেসবুকের ফ্রেইন্ডলিস্টে ৩০০ জন ফ্রেইন্ড করেও ত্রিপল সেঞ্চুরী করেছি! তবে ফেসবুকে ত্রিপল সেঞ্চুরী করাটা আমার জীবনের এক টার্নিং পয়েন্ট ছিল! তা প্রায় ৫ মাস আগের কথা। এফবি ফ্রেন্ড যখন ২৯৯ তখনই ভেবেছি ত্রিপল সেঞ্চুরীটা দেখে শুনে করব, নার্ভাস ৯৯ বলে কথা! কাকতালীয় হলেও সত্য ৩০০ নম্বর ফ্রেইন্ডটা ছিল কার্টুনিস্ট ইন্দ্রজিৎ ইমন! আগেই বলেছি দেখে শুনে ত্রিপল সেঞ্চুরী করতে চাই তাই ইমন ভাইয়ের প্রোফাইল নিয়ে রীতিমত গবেষণা শুরু করেছিলাম ওনার ফ্রেইন্ড রিকোয়েস্ট এঙ্সেপ্ট করার আগে। দেখলাম পুরো ওয়ালে কার্টুন আর কার্টুন আর দেশের বিখ্যাত বিখ্যাত ফান রাইটারসদের কমেন্ট এন্ড লাইক। খারাপ লাগল না তাই ভাবলাম, আমার ত্রিপল সেঞ্চুরীর জন্য এই বলটা খারাপ না। এরপর ঝটপট বেশ কয়জন রাইটারসদের ফ্রেইন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিলাম, তারা এঙ্সেপ্টও করলেন! ইমন ভাইয়ের সাথে চ্যাটিং এর ২য় দিনেই আমি আমার জীবনের সুপ্ত ইচ্ছার কথা জানালাম যে আমি ফান ম্যাগাজিন এ লিখতে চাই। তখন ইমন ভাই একটু ভাব ধরে বলেছিলেন, " দিস ইজ নট ইজি টাস্ক!"। আমার মাত্রাতিরিক্ত রিকোয়েস্টের দরুন থেরাপীর মাননীয় সম্পাদক সোহেল অটল ভাইয়ের ফোন নং এবং মেইল এড্রেস দিতে বাধ্য হন তিনি। আমিতো তখন ঠু মাচ এঙ্াইটেড হয়ে চিন্তা শুরু করলাম কি লেখা যায়! মাথায় একের পর এক চিরুনী অভিযান চালাচ্ছিলাম কিছু লেখার জন্যে। আমার এডুকেসনাল ব্যাকগ্রাউন্ড যেহেতু কমার্স তাই ভাবলাম কমার্স রিলেটেড কিছু লিখি, লিখে ফেললাম "একাউন্টিশিয়ানের ভালবাসা"। পাঠিয়ে দিলাম থেরাপীতে। টেনশন খাচ্ছিলাম যে লেখাটা আসবে কিনা, কারন লেখাটা নাকি ভাল হয় নি ( ইমন ভাইয়ের মতামত)। তবে থেরাপী রিলিজ পাবার আগেই ফেসবুকে থেরাপীর আরেকজন কার্টুনিস্ট+ লেখক সুমন ভাইয়ের কমেন্ট পেয়ে সিওর হয়েছিলাম যে লেখাটা আসবে! আমার আনন্দ দেখে কে, অতিউৎসাহিত হয়ে পিসি-কিবোর্ড নিয়ে বসে পরলাম আরো কিছু লেখার জন্যে! সেই থেকে শুরু.. .. নিয়মিত লেখার চেস্টা করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমার লেখার গঠনমুলক সমালোচনা করে আমাকে অনেক হেল্প করে যাচ্ছেন যারা, তাদের কথা না বললেই নয়, জনপ্রিয় লেখক আহমেদ আরিফ, জগলুল হায়দার, ইন্দ্রজিৎ ইমন, সুমন আহমেদ আরো অনেকে.. .. যাদের প্রতি আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। থেরাপীর যে জিনিসটা আমার সবচেয়ে ভাল লাগে সেটা হচ্ছে আড্ডাখানা বিভাগটি যেখানে পাঠকগনও নিজেদের মতামত দিতে পারেন, মাঝে মাঝে পাঠকরা আমাকে নিয়েও লিখেন বলেই আলাদা এক ভাললাগা জন্মেছে ঐ বিভাগটির প্রতি! ফেসবুকে থেরাপীর গ্রুপটাতো অসাধারণ, সেখানে আড্ডা দেয়ার টেস্টই আলাদা! থেরাপীতে লেখার আগে আমার ফেসবুকের ফ্রেইন্ডলিস্ট ফিগারটা রেগুলার জিমে যাওয়া মানুষের মত থাকলেও এখন কিন্তু সেরকম নাই, বেশ বেড়ে গেছে! যাই হোক এই ফান লেখা-লেখি আমি খুব এনজয় করছি, থেরাপীর ৪০০ সংখ্যার জন্যেও যেন লিখতে পারি এই কামনায় লেখা শেষ করলাম।
ধহধসরশধ.ধধহধ৯২@ুধযড়ড়.পড়স

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thanks.