মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১২

মনে পরে বিশ্বকাপ!

cartoon- sumon ahmed

মনে পরে বিশ্বকাপ!
অনামিকা মন্ডল
আশা ছিল.. .. ভালবাসা ছিল.. .., কিন্তু কি হল.. .. কিন্তু কি হল .. ..!
এই গানটা উৎসর্গ করলাম বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে। ২০১১ সালের শুরু থেকেই খুব এঙ্াইটেড ছিলাম ক্রিকেট নিয়ে, কেননা বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ আমাদের দেশে হতে যাচ্ছে! আমরা ফ্রেইন্ডসরাতো সিডিউল সাজাচ্ছিলাম কবে কার বাসায় কোন ম্যাচটা দেখবো সেটা নিয়ে। দূর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশ- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ভেনুটা আমার বাসাতেই পরেছিল তাই আজ্‌ও আমার বাসার নামে কলঙ্ক ছড়াচ্ছে ্‌ওরা, আমার বাসা নাকি কুফা। ইস, বেচারা বাসা! এত্ত ভালবাসা তারর্প‌েও কলঙ্ক বয়ে বেড়াচ্ছে। লোকে ঠিকই বলে কলঙ্ক ছাড়া ভালবাসা হয় না!
যাই হোক, গোটা দেশটা যাদের দিকে তাকিয়ে ছিল তারা যে চোখে মোটা সানগ্লাস পরে খেলছিল তাতে কোন সন্দেহ নাই। অনেক প্রত্যাশা ছিল অনেক ভরসা ছিল তাদের উপর...!
কিন্তু বরাবরের মত সে আশায় গুড়ে বালি দিতে ভুল করেননি আমাদের টাইগাররা! বাংলাদেশ যেমনি খেলুক মাঠে ফান ম্যাগাজিনগুলো অনেক ভাল খেলেছে খেলোয়াড়দের নিয়ে। অন্যতম জনপ্রিয় ফান ম্যাগাজিন থেরাপ্‌ীও বসে ছিল না, চার-ছয় মেরে এরকম লজ্জাজনক পারফরম্যান্স মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছে। থেরাপীর ফান-রাইটারগন, আইডিয়াবাজগন এবং কার্টুনিস্টগন বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে বিডি ক্রিকেটারদের এরকম নেগেটিভ পারফরম্যান্সকে পচিয়েছেন। থেরাপী সূত্রে জানতে পেরেছিলাম সুন্দরবনে নাকি বাঘেরা জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। তাদের বচন এই যে বিনা পয়সায় তাদের রেজিস্ট্রেশন করা নামটা বিডি ক্রিকেটারদের ব্যবহার করতে দেয়ার র্প‌েও নামের মিনিমাম সম্মান টুকু রাখতে পারেনি বলে তারা ক্ষিপ্ত। তারা নাকি আজকাল মানুষদের মুখ দেখাত্‌েও লজ্জা পায় তবে একজন নাকি তাদের নামটার যথার্থ সম্মান দিয়েছে, তাই তারা এখনো সুইসাইড টাইপ কোনো স্টেপ নেইনি!
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ এ বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলংকা মিলে যে আয়োজন করেছিল সেখানে এই ৩ দেশেরি অর্জন রয়েছে। চ্যাম্পিয়ান ভারত, ভাইস চ্যাম্পিয়ান শ্রী লংকা আর আমরা চ্যাম্পিয়ান হয়েছি আয়োজক দেশ হিসেবে। এ থেকে একটা প্রবাদের পরিচয় মেলে সেটা হল "ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ"। এবার আসি পারফরমেন্সে, সবচেয়ে স্মরনীয় ম্যাচ্‌ও খেলেছে আমাদের টাইগাররা ঐ টুর্নামেন্টে ত্‌াও একটা নয় ২টা! ্‌ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর সাথে ৫৮ করলো এক ম্যাচে পরের ম্যাচে দক্ষিন আফ্রিকার সাথে বেশ উন্নতি করেছিল বাংলাদেশ, ৭৮ রান করেছিল। এখানে কিছু পজিটিভ দিক আছে, ১) আমাদের মধ্যে ঐক্য অতুলনীয় কেননা অন্য দেশের ক্রিকেটাররা ম্যাঙ্মিাম টাইম এ একাই ৫৮, ৭৮, ১০০ করে আর আমরা ম্যাঙ্মিাম টাইমেই সবাই মিলে ৫৮,৭৮,১০০ করি! "একতাই বল" প্রবাদে আমরা বিশ্বাসী। ২) আমরা অল্পতে তুষ্ট, ৫৮ করার পরের ম্যাচে ৫৮ ক্রস করার পর যে অনন্দ পেয়েছিলাম তা ্‌ওয়ার্ল্ড কাপ জিতল্‌েও পেতাম কিনা সন্দেহ আছে! টুর্নামেন্টের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত হোস্ট হয়্‌েও আমাদের গেস্টের ভূমিকা পালন করতে হয়েছিল!
যা হবার হয়ে গেছে, নতুন বছরটা যেন সাভল্যমন্ডিত হয় সেই আশাতেই আছি আমরা থেরাপীপ্রেমিরা!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thanks.